দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির মন্তব্যে উত্তাল গোটা দেশ। জাতীয় রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের রেশ।
কারামন্ত্রী অখিল গিরির বর্ণবৈষম্যমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাঁকুড়ার জঙ্গল মহল। রাজ্যের কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর এরই মধ্যে রবিবার নিজের এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল রানীবাঁধের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জোত্স্না মাণ্ডিকে।
অখিলের মন্তব্য ঘিরে, জেলায় জেলায় চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। কোথাও পুড়ছে মন্ত্রীর কুশপুতুল। কোথাও হচ্ছে পথ অবরোধ। শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে দক্ষিণে ডায়মন্ড হারবার… সর্বত্রই চলছে প্রতিবাদ। আর সবক্ষেত্রেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পুরভাগে বিজেপি। অখিল গিরির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবির। কোনও কোনও বিজেপি নেতা আবার পাল্টা অখিল গিরিকেই ব্যক্তি আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছেন।
অখিল গিরির মন্তব্যের বিরোধিতা করে রবিবার খাতড়া পাম্প মোড়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আদিবাসী একতা মঞ্চের সদস্যরা। সেই সময় খাতড়ার বাড়ি থেকে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। তিনি যাওয়ার সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ঐ সংগঠনের কর্মীরা। এরপর মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি গাড়ি থেকে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। যারফলে বাধ্য হয়ে সেখান থেকে অন্যত্র রওনা দেন মন্ত্রী।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়ে ঘটনার দেড় দিন পার হয়ে গেলেও তিনি এখনও চুপ কেন তা নিয়ে চড়া সুর চড়িয়েছেন চুঁচুড়ার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জোত্স্না মাণ্ডিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি অবিলম্বে অখিল গিরির গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন আদিবাসী সমাজ। জেলায় জেলায় চলছে বিজেপির বিক্ষোভ প্রদর্শন। ঘটনা ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে আদিবাসী সমাজ।