সম্প্রতি ফেসবুকে অভিষেকের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত পুলিশের এক ইনস্পেক্টর। ওই পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, আশিস বটব্যাল নামে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই সাসপেন্ডের কথা স্বীকার করলেও তার কারণ হিসেবে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগই তুলেছেন।
ওই পুলিশ অফিসারের নামে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। তা নিয়েই বিতর্ক। ওই পোস্টে অভিষেকের চশমার দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি কোন জায়গায় চোখের চিকিৎসা করেছিলেন, তা জনগণকে জানানোর কথাও বলা হয়েছে। পোস্টের নীচে অভিষেকের সভার একটি ভিডিয়োর স্ক্রিনশটও ছিল।
এই প্রসঙ্গে বারাসত জেলার বিজেপি সভাপতি তাপস মিত্রের দাবি, পুলিশ অফিসারও একজন সরকারি কর্মী। তিনি ডিএ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাই তিনি এক সাংসদের চশমার দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন। বিজেপি নেতার কথায়, ‘সাহস থাকলে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারতেন অভিষেক।’ দেশের এত বড় বড় হাসপাতাল থাকতে আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হল কেন অভিষেককে?
যে দেশের রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা করান মিলিটারি হসপিটালে, সেখানে অভিষেক কেন এত টাকা খরচ করে দেশের বাইরে চিকিৎসা করাবেন? একজন সরকারি কর্মী হিসেবে পুলিশ এই প্রশ্ন তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, সরকার বলে আর কিছু নেই, সবটারই তৃণমূলিকরণ হয়েছে।