উন্নয়ন এখন দুয়ারে: নেত্রী ঘুমাচ্ছেন, ববি কাঁদছেন! গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটকে নিশানা শুভেন্দুর।
নন্দীগ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাশীকর্ন শাখায় যে অ্যাকাউন্ট আছে রুজিরা নারুলার নামে, ২০১৯-এ রুজিরা ও মেনকা গিয়ে ওই অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করে। পরে মেনকার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা তোলা হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে আটটা সোনাভর্তি ব্যাগ নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে আসছিলেন রুজিরা নারুলা। কলকাতা বিংমানবন্দরে কাস্টমস-সিআইএসএফ ধরে। একটি ব্যাগ খুলতে দেওয়া হয়েছিল, বাকি সাতটি ব্যাগ খুলতে দেওয়া হয়নি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৎকালীন বিধাননগরের কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গ্রিন করিডরে করে সাতটি সোনা ভর্তি ব্যাগ মমতা ব্যানার্জির বাড়ির পাশে ছোটদার চায়ের দোকান, বর্তমানে শান্তিনিকেতন বিল্ডিং-এ পৌঁছে দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, যে, বর্ধমান-বাঁকুড়ায় যত বালি খাদান রয়েছে সেগুলি মেনকা গম্ভীর আর তাঁর স্বামী অঙ্কুশ অরোরা এবং বাবা পবন আরোরা নামে লিজ নেওয়া । তাঁর অভিযোগ, ২০২০ সালে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ২ হাজার কোটি টাকার হেলথ ইকুপমেন্ট এরা সাপ্লাই দিয়েছিল। সেখানেও দুর্নীতি করেছে। অন্যদিকে এসসি-এসটি ডেভেলপমেন্টের টাকায় সবুজসাথীর সাইকেল দেওয়া হয় যার সরবরাহকারী পবন অরোরা, প্রতি সাইকেল পিছু চারশো টাকা করে কমিশন এদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গকে এরা লুটেপুটে খাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলা থেকে এদের তাড়াতেই হবে এবং সেটা করবে বিজেপিই। কেননা কংগ্রেস আর সিপিএম সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে, তারা রিজেক্টেড।