এদিন গত ১৪ দিনের তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে বিচারকের কাছে কেস ডায়েরি জমা করেন গোরু পাচার মামলার আইও সুশান্ত ভট্টাচার্য। সেই কেস ডায়েরি খুঁটিয়ে দেখতে দেখতে এক জায়গায় চোখ আটকে যায় বিচারকের। আইওকে ডেকে কাগজের একটি জায়গায় আঙুল দেখিয়ে নিচু স্বরে কথা বলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। বিচারক আইওকে বলেন, ‘আমার ২০ বছরের কর্মজীবনে এ জিনিস শুনিনি, দেখা তো দূরের কথা।’ বিচারকের এই মন্তব্যের পরেই আদালত চত্বরে গুঞ্জন শুরু হয়। কেস ডায়েরিতে কী থাকতে পারে তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।
শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে পেশ করা হলেও জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। কিন্তু সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা অনুব্রতর দু’টি মোবাইল ফোন ফেরতের আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ১০ অগস্ট গ্রেপ্তারের পর ওই দু’টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফোন দু’টি পাঠানো হয় ফরেন্সিক পরীক্ষায়। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য এজলাসে জানান, ফরেন্সিক পরীক্ষার পর সিবিআই হেফাজতে রয়েছে মোবাইল দু’টি। ওগুলি এখন দেওয়া যাবে না। তদন্ত চলছে। এর পর বিচারক মোবাইল ফেরত পেতে লিখিত আবেদনের জন্য অনুব্রতর আইনজীবীকে জানান। পরবর্তী শুনানির দিন মোবাইল ফেরত নিয়ে সওয়াল-জবাব হবে।