“সাড়ে ১১ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী যেসব সরকারি কর্মী নিয়োগ করেছেন মমতা, তাঁদের এতটাই কম বেতন যে কোনও বাড়ির বাবা- মায়েরা নিজেদের সন্তানদের তাঁদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার ঝুঁকি নেন না।’’ বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
তিনি বলেন, ‘‘একটা বাচ্চাকে মোটামুটি ভাল স্কুলে ভর্তি করলেই তার পঠন-পাঠনের জন্যেই চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে যদি ওই সমস্ত চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামোর হাল এই হয়, তাহলে বুঝে নিন বাংলার মেধাযুক্ত মানুষদের সরকারি চাকরির কি হাল।’’
‘‘ওই সমস্ত সরকারি কর্মীদের মাসিক বেতন কারও দেড় হাজার টাকা, কারও ৪ হাজার টাকা, কারও ৬ আবার কারও বা ৮ হাজার টাকা। এই বেতন দিয়ে কি সংসার চালানো যায়?’’
‘‘আমি মন্ত্রিসভায় থাকাকালীন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর সুপারিশে ছ’ লাখ স্থায়ী চাকরির পদ অবলুপ্ত করা হয়েছে৷’’ দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি যেহেতু একটা টার্ম মন্ত্রিসভায় চার বছর ছিলাম তাই জানি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর সুপারিশে ছ’ লাখ স্থায়ী চাকরির পদ অবলুপ্ত করা হয়েছে৷ তার বদলে ৬০ হাজার কন্ট্রাকচুয়াল দিয়েছেন৷ তার মধ্যে ৩০ হাজার পার্টির ক্যাডার, যারা অফিস করে না৷ তোলা তোলে তৃণমূলের হয়ে৷ আর ৩০ হাজার চাকরি দিয়েছে পাঁচ থেকে আট লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে৷’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘ছ’লাখ স্থায়ী চাকরি উঠে গিয়েছে৷ অন্যান্য প্রদেশে সার্ভিস কমিশন আছে, যেখানে কোনও রাজনীতির ছোঁয়া নেই৷ মেধা অনুযায়ী চাকরি হয়৷ কম্পিউটার পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা দিয়ে হয়৷’’
‘‘এই একই পদে যারা স্থায়ী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন সেই সমস্ত সরকারি কর্মীদের বেতন মাসে ৩০ হাজার টাকা। অথচ সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছেন। বাংলার শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিনই শুনছি সরকারি কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। আর প্রতিদিনই মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছেন৷’’