ঘটনার সূত্রপাত হয় সোমবার। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার ধুলাগড়ি আদৰ্শ বিদ্যালয়ে (Dhulagori Adarsha Vidyalaya)। দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির হিজাব পরিহিতা ছাত্রীরা নামাবলী পরে আসা পাঁচ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের স্কুলে প্রবেশ করা নিয়ে প্রবল আপত্তি তোলে; ধুলাগড়ি আদৰ্শ বিদ্যালয়ের ঘটনা
অনেকদিন ধরেই ছাত্রীরা হিজাব পরে স্কুলে আসছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথম দিকে আপত্তি জানালেও পারে দিকে তারা চার দিয়েছেন। এরপর ছাত্রীদের হিজাব পরে স্কুলে প্রবেশ করা নিয়ে আপত্তি তোলে সেই স্কুলেরই দ্বাদশ শ্রেণির একদল ছাত্র। তাদের বক্তব্য, যদি মেয়েরা হিজাব পরে স্কুলে আসতে পারে তবে তারা নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না কেন? সেক্ষেত্রে তাদেরকেও স্কুলে আসতে অনুমতি দিতে হবে ।
মঙ্গলবার স্কুলে নামাবলী পরে আসে পাঁচ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র । ঘটনায় প্রতিবাদ জানায় ওই স্কুলের দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির হিজাব পরিহিতা ছাত্রীরা।
দুপক্ষের মধ্যেই তর্কাতর্কির পর হয় স্কুল ভাঙচুর। স্কুল শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। কয়েকজন শিক্ষক জানান, দুই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং স্কুলের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর উত্তেজনা প্রশমনে সাঁকরাইল থানার পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। চলে তুমুল সংঘর্ষ। অশান্তির জেরে মঙ্গলবার একাদশ শ্রেণির টেস্টের পরীক্ষাও বাতিল করা হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারা ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “প্রত্যেক নমাজের দিন দু’টি ক্লাস হওয়ার পরেই নমাজ পড়তে বেরিয়ে যায় মুসলিম পড়ুয়ারা। বাইরে চলে প্রকাশ্যে ধূমপান। স্কুল থেকে কয়েকবার বেরোনো বন্ধ করা হলে স্কুলের ভিতরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷
হিজাব বন্ধ করে দিলে স্কুলে সরস্বতী পুজো করাও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷”
এদের এই সাহস দেখেও প্রসাশন চুপ৷