একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে আনা হয়েছে, বিএড কলেজের ৪৯ হাজার ৪০০ জন পড়ুয়াদের কাছ থেকে অনলাইনে ক্লাস করানোর নাম করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করা হতো। এক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হতো বলে অভিযোগ এবং এভাবেই প্রায় ২.৫ কোটি টাকা আদায় করেন মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর সহযোগীরা।
ইডির দাবি অনুযায়ী, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার সন্ধান পায় তারা। এই টাকার সম্পূর্ণটাই বিএড পড়ুয়াদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছিল। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, করোনার সময় অনলাইনে ক্লাস করার জন্য প্রত্যেক পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হতো এবং এটি তাপস মণ্ডলের হাত হয়ে পৌঁছে যেত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে।
তাপস মণ্ডলের লেখা একটি চিঠির সূত্র ধরেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডি পেয়েছে। এক্ষেত্রে উক্ত চিঠিতে প্রতিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীকে তাদের নামের তালিকা, মেইল আইডি এবং ৫০০ টাকা করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সেই চিঠিতে সই রয়েছে তাপসবাবুর।সূত্রের দাবি, এই মামলায় বিএড এবং ডিএলএড কলেজ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রসঙ্গে আরও একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে গোয়েন্দা অফিসাররা।
ইডির দাবি মানিক ভট্টাচার্য এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অজান্তে এই সকল দুর্নীতি হয়নি।