কে এই প্রজ্ঞা দেবনাথ ওরফে আয়েষা জান্নাত মোহনা? কিভাবে একটি মুসলিম জঙ্গি সংগঠনের পাতা ফাঁদে সে মুসলিম ধর্ম নিতে বাধ্য হলো ? দেখে নিন …..
জন্মসূত্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রজ্ঞা দেবনাথের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ধনিয়াখালি থানার পশ্চিম কেশবপুর গ্রামে। কেশবপুর প্রাথমিক স্কুলের পড়াশুনা শেষ করে ধনেখালির বি এম হাইস্কুলে ভর্তি হয় প্রজ্ঞা। পরে ধনেখালি শরৎ সেন্টেনারি কলেজে সংস্কৃত অর্নাস নিয়ে ২০১৪ সালে ভর্তি হয়। দ্বিতীয় বর্ষের মাথায় সংস্কৃত অর্নাস ছেড়ে পাস কোর্সে ভর্তি হয় প্রজ্ঞা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কলকাতায় যাওয়ার নাম করে বাড়ি ছাড়ে প্রজ্ঞা। অনেক রাত পর্যন্ত মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন ধনেখালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
শত কষ্ট সহ্য করেও হতদরিদ্র বাবা, মা- মেয়েকে পড়াতে চেয়েছিলে। কিন্তু প্রজ্ঞার সাথে অনলাইনে আলাপ হয় জেএমবির নারী শাখার প্রধান আসমানি খাতুন আসমার। এদের নির্দেশেই জেএমবিতে নাম লেখায় প্রজ্ঞা।
সেই প্রজ্ঞাই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি বা নিও জেএমবির মহিলা বাহিনীর সক্রিয় সদস্য আয়েষা জান্নাত মোহনা ওরফে জান্নাতুত তাসনিম।
জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া ধনেখালির মেয়ে প্রজ্ঞা দেবনাথ ওরফে আয়েষা জান্নাত মোহনার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার বাবা এবং মা। 2020 সালে ঢাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে প্রজ্ঞা ওরফে আয়েষা।
প্রজ্ঞার বাবা বলেন যে , মেয়ে আমাদের স্বপ্ন চুরমার করে দেবে কল্পনা করতে পারিনি। দেশদ্রোহীর শাস্তি হলে আমার কোনও আফশোস নেই।’
এখানেই প্রশ্ন , করা এই হিন্দু সহজ সরল মেয়েটিকে বাধ্য করলো জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হতে , কি ভাবে যুক্ত হলো ?
এমন ভাবে এই মুসলিম জঙ্গি সংগঠন মেয়েটিকে মাথা মুড়িয়েছিলো তার আসার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, বাধ্য হয়েছিল ওমান প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে টেলিফোনে বিয়ে করতে। পুলিশ জানিয়েছে, তার প্রবাসী স্বামীও জঙ্গি সংগঠনটিকে মোটা টাকা দিতো।
এখন এই মেয়েটির ঠিকানা বাংলাদেশের জেল। হতদরিদ্র বাবা, মায়ের সম্বল শুধু চোখের জল।
সত্য তথ্যে ভরপুর একটা ঘটনা থেকে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক মানসিকতা নিয়ে, কি কি বিকৃত তথ্য উদ্ধার করলেন আপনি মমতা ব্যানার্জি? প্রশ্ন রইলো বাংলার মানুষের।