গত দেড় বছরে মমতা সরকারের আমলে বিরোধী দলনেতা, বিরোধী দলের কর্মীরা কী কী ধরণের অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছেন, তা এ দিন প্রচার পুস্তিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই রয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশদ বিবরণ। নিয়ম করে বাংলায় ডিসেম্বর বিপ্লবের কথা আওরাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তার আগেই এই পুস্তিকা প্রকাশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বহু মামলা দায়ের হয়েছে। বিরোধী দলনেতার দাবি সব অভিযোগই মিথ্যা। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা বই আকারে প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে সেই বই পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতা। এমনকী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও সেই বই পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর একটাই দোষ৷ তিনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম থেকে হারিয়েছেন ৷ তাতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বহু মামলা হয়েছে ৷
পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার এই বই প্রকাশ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বইয়ের নাম ‘১৯৫৬’। মঙ্গলবার তিন ভাষায় এই বই প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বইপ্রকাশের পর তিনি বলেন, “রাজ্যের গণতন্ত্র কেমন? আমি ১৯৫৬ নামে তিন ভাষায় একটি বই করেছি। আমাকে কীভাবে দিনের পর দিন আটকানো হয়েছে তার ছবি দিয়েছি। ৫ মে’র পর থেকে বিরোধী দলনেতার নামে মামলা হয়েছে। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আগে কোনও মামলা ছিল না। সব হয়েছে ৫ মে’র পরে। যেগুলো হাইকোর্ট গিয়েছে, সেগুলি তুলে ধরেছি।” উল্লেখ্য, এর আগে যখন শুভেন্দু অধিকারী বইপ্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন, তখন বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যে উপহারগুলি দিয়েছেন, সেগুলি পুস্তক আকারে তিনি প্রকাশ করবেন।
বইটিতে শুভেন্দুবাবু তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার কথা ছবিসহ তুলে ধরেছেন। শুভেন্দু বলেন, প্রায় দশটির বেশি জায়গায় রাস্তায় শয়ে শয়ে পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়েছে, সেই ছবিগুলি আমি দিয়েছি। আমি কয়েকটি ছবি দিতে পেরেছি। অত ছাপানোর আর্থিক ক্ষমতা আমার নেই।”