২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
এই আবহে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে বেআইনি চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
“রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।”, মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিত বসুর।
ইতিমধ্যে ৯৫২ জনের বিকৃত ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে সিবিআই। তাঁদের ওএমআর শিট নিজেদের সাইটে প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। ৬১৮ জনের চাকরি বাতিলের সম্ভাব্য তালিকাও প্রকাশ করেছে এসএসসি।
এদিকে, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে ইতিমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ালেন এসএসসি গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জন অযোগ্য প্রার্থী। জানানো হয়েছে, সেই জায়গায় নিয়োগ করা হবে, ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৪৪ জনের চাকরি পাওয়ার তালিকাও প্রকাশ করেছে এসএসসি। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে যে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরে শ্রমদানের প্রেক্ষিতে বেতন না ফেরানোর দাবিতে মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।