বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে মুকুল রায়ের দিল্লী যাত্রা ইস্যুতে এসাংবাদিকদের বলেন যে, উনি তো যেসব কথাবার্তা বলছেন তাতে সাবি বুঝে গেছে উনি অসুস্থ। নিজে বলছেন, আমি ঠিক আছি। ছেলে বলছেন, বাবা পাগল। আগে বাবা ছেলে ঠিক করুক কে কি। তারপর জনতা ঠিক করবে।”।
মুকুল বলেছেন BJP-তে ছিলাম, আছি, থাকব। উনি বলছেন CPIM-কে তাড়াতে হবে। ওঁর মাথা ঠিক আছে কি? রাজ্যে কি CPIM আছে? কার হয়ে বলছেন? সেটা আগে ঠিক হোক।
Dilip Ghosh : ‘বাচ্চা ছেলে নাকি…মুখে চুসি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন!’ মুকুলকে তোপ দিলীপের
দিলীপ বাবু এদিন অভিষেকের জেলা সফর নিয়েও কটাক্ষ করেন। এত দুর্নীতি করলে মানুষ তো বটেই, ভগবানও সঙ্গে থাকেন না। তাই আজ কেউ নেই। বিচার ব্যবস্থাও পাশে নেই। তাই চেষ্টা করছে মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে।”
“যদি অমিত শাহকে ফোন করেছি প্রমাণ হয়, আমি গদি ছেড়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রীর এইকথার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এতে প্রমাণ করার কি আছে? ওরা সর্বভারতীয় নাকি আঞ্চলিক, তাতে মানুষের কি যায় আসে? রাজ্যের মানুষ পেটে গামছা বেঁধে আছেন। অন্য রাজ্যে গিয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আর এখানে কাটমানি ও দুর্নীতি চলছে।”
দিলীপ আরও বলেন, “অভিষেক জীবনে প্রথম বার গ্রামে যাবেন। রাহুল গান্ধী যেমন গ্রামে গিয়ে এবারই প্রথম সূর্যোদয় দেখলেন। গ্রামের মানুষ কিরকম হয় উনি সেদিন পার্লামেন্টে বলছিলেন। ৫০ বছর বয়সে উনি ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া করলেন। এখানেও তাই। যুবরাজ ৪০ বছর বয়সে সবাইকে দর্শন দিতে যাবেন। অথচ উনি গ্রাম থেকেই সংসদের প্রতিনিধি।”
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “যদি অমিত শাহকে ফোন করেছি প্রমাণ হয়, আমি গদি ছেড়ে দেব।” এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এতে প্রমাণ করার কি আছে? ওরা সর্বভারতীয় নাকি আঞ্চলিক, তাতে মানুষের কি যায় আসে? রাজ্যের মানুষ পেটে গামছা বেঁধে আছেন। অন্য রাজ্যে গিয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আর এখানে কাটমানি ও দুর্নীতি চলছে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, ‘BJP দেশ চালাচ্ছে না, দেশ জ্বালাচ্ছে’। এই বিষয়টিকে তাচ্ছিল্য করে দিলীপ বলেন, “BJP কিরকম দেশ চালাচ্ছে অন্য রাজ্যে গিয়ে দেখে আসুন। উনি একবার প্রধানমন্ত্রীকে নকল করে রোজগার মেলা করেছিলেন। দেখা গেল সব ভুয়ো। ওগুলো চাকরি নয়। সব ট্রেনিং-এর কাগজ। যে কোম্পানি গুলির নাম করেছিলেন, তারাই বলেছে সব ভুয়ো।”
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন ২০২৪ লোকসভা ভোটে মাত্র ২০০ আসনেই শেষ হবে BJP। এই বিষয়ে তুমুল কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, “কার শাপে যেন গোরু মরে না? কি একটা প্রবাদ আছে? ২০১৯ এও বলেছিলেন BJP ফিনিশ। ওরা নাকি ৪২-এ ৪২ পাবে। পরিণাম কি হল? ওনার এক ডজন আসন কমে গেল। যাদের উনি কলকাতায় সেবার সভা করতে নিয়ে এসেছিলেন তাদের অনেকেই পার্লামেন্ট পর্যন্ত পৌছতে পারেননি। সবাই জেনে গিয়েছে ব্যাপারটা। তাই মমতাকে আর কেউ ডাকে না। কারণ ওনার দৃষ্টি পড়লেই সর্বনাশ।”