শান্তনু গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির হাতে। ইতিমধ্যেই নেতার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। আর এবার আদালতে আরও বিস্ফোরক দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
স্লিপিং ডিরেক্টর নাম রেখে তাদের নামেই কেনা হতো বিপুল সম্পত্তি আদতে যেসবের মালিক ছিল শান্তনু নিজে। গতকাল আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি-র আইনজীবীর আরও দাবি, স্লিপিং ডিরেক্টরদের নামে নগদ টাকায় বহু বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। যেগুলির মালিক অভিযুক্ত শান্তনু।
শুধু শান্তনু নয়, ইতিমধ্যেই তার পরিবারের সদস্যদের নামেও একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তার ছেলের নামে তৈরী ইভান contrade pvt লিমিটেডের ক্ষেত্রেও সম্পত্তি কেনা হয়েছিল ডামি ডিরেক্টরদের নামে। তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কোম্পানির অধস্তন কর্মীদের যৌথ কোম্পানি খুলেছিলেন তিনি। একথা আগেই আদালতে জানিয়েছিল ইডি। খাতায় কলমে ডিরেক্টরও বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের।
গতকাল শান্তনু বন্দ্যপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতায় সওয়াল করতে গিয়ে ফের আদালতে প্রভাবশালী যোগের তত্ত্ব তুলে ধরেন ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি৷
আদালতে তিনি বলেন, “কেস ডায়েরি দেখে নিন। ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন কী হতে চলেছে। একবার কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্যে বলতে পারছি না। নামগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে।”
কারা এই প্রভাবশালী, যাদের নাম ভরা এজলাসে মুখে আনতে পারবেন না আইনজীবী? তাহলে কী দুর্নীতির পেছনে রয়েছে বড় কোনো মাথা! এসব প্রশ্নেই এখন তোলপাড় বাংলা।
এদিন শুনানি পর্ব শেষে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত শান্তনুর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।