হু ইজ কেকে! ফেসবুক লাইভে এসে রূপঙ্কর বাগচীর এই মন্তব্য এবং কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে কেকের মৃত্যকে টেনে কয়েকদিন আগেই তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। সংবাদ বৈঠক ডেকে পুরো বিষয়টা নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন রূপঙ্কর। তবুও যেন বিতর্ক থামছিল না। বিতর্কের জেরে মিও আমোরের বিজ্ঞাপনী গান থেকে বাদ গিয়েছেন রূপঙ্কর।
আসন্ন এক বাংলা ছবি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর গান। এখন রূপঙ্কর যাই করেন, নেটিজেনরা তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। ঠিক এমন সময়ই ইউটিউবারের গান চুরির অভিযোগে ফের বিপাকে পড়লেন রূপঙ্কর।
রূপঙ্কর বাগচীর বিরুদ্ধে উঠেছে গান চুরির অভিযোগ। ফের চরম কটাক্ষের শিকার হয়েছেন রূপঙ্কর। সবাই ঠাট্টা তামাশা শুরু করে দিয়েছে। ‘গান চুরি’র অভিযোগ এনেছেন মনোরমা ঘোষাল নামে এক গায়িকা।
গায়িকার দাবি, ”যিনি কম্পোজার পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় ও যিনি গেয়েছেন, সেই রূপঙ্কর বাগচী, দুজনের নামে জেনারেল ডাইরি করতে এসেছি। ৬ মাস আগে আমার চ্যানেলে গানটা আপলোড হয়ে যায়। ভিডিও করে গানটি বাজারে ছেড়েছিলাম এবং কম্পোজার পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো পারিশ্রমিক নিয়ে গানটি আমাকে দিয়েছিলেন। আমি গানটি করি।
ওঁকে এটাও বলা হয়েছিল, এটা আমার সম্পূর্ণ নিজের গান। আপনি খুব ভালো করে দেখবেন গানটি যাতে সবার কাছে পৌঁছয়। প্রমোশন করুন, প্রমোট করুন। তার জন্য উনি যথেষ্ট টাকা নিয়েছিলেন।”
এরপর তিনি বলেন, ”আমি অনুরোধ করছি কিছুদিনের জন্য গানটি তুমি মিউট করে দাও। তুমি পাবলিক করো না গানটি। কেন জিজ্ঞাসা করলে বলেন রূপঙ্কর বাগচীর ব্যাপার। বিষয়টি ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। গতকাল ‘সাগর তুমি..’ গানটা যখন চালাতে যাই দেখি আমার গানটা আসছে না ইউটিউব চ্যানেল থেকে স্ট্রাইক করে দেওয়া হয়েছে।
অথচ রূপঙ্করের গানটা বাজছে। গতকাল রূপঙ্করের গানটা বেরিয়েছে। জুনের ২৫ তারিখ রূপঙ্করকে ফোন করা হয়েছিল, হোয়াটসঅ্যাপও করা হয়েছিল। ভিডিওটির লিংক পাঠানো হয়েছিল।
সেইসঙ্গে বিস্তারিত লিখে দেওয়া হয়েছিল। আমার যিনি অভিভাবক তিনি লিখে দিয়েছিলেন যে গানটি ইতিমধ্যেই গাওয়া হয়ে গেছে। একজন গেয়েছেন। এটা দ্বিতীয় বার করে হতে পারে না। তা সত্ত্বেও গানটি চালানো হয়।”
তাঁর আরও সংযোজন, “আমার অভিভাবক এই গানটি রূপঙ্কর বাবুকে পাঠিয়েছিলেন। উনি প্রথম থেকেই জানতেন এটি আমার গান। ফোনেও আমার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। কেন যে এই কাজ উনি করলেন”?