“তারাপীঠ খ্যাত, শান্তিনিকেতন খ্যাত কবিগুরুর বীরভূমে আজ জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে, যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

অনুব্রতর গড়ের হানা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু।

তিনি বলেন “আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

বীরভূম জেলার নলহাটি হরিপ্রসাদ হাই স্কুল মাঠে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিবাদ সভায় অংশ গ্রহণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই জনসভার মাঠ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ‘তিন হাজার প্রাইমারীর চাকরি গেছে, ওমপ্রকাশ চৌটালা জেলে গেছে। এখানেও আগামী দিনে এই অবস্থাই হবে। রানি মৌমাছি নিজে মধু খায় না, শ্রমিক মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে। যেমন কেষ্ট করেছে, টুলু, আইসি আলি করেছে। সব গেছে আসল রানিমার কাছে। দড়ি ধরে মার টান, রানি হবে খান খান।’

বীরভূমের নলহাটিতে কার্যত এদিন ‘বিস্ফোরণ’ ঘটান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন “আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান বীরভূম। আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

একইসঙ্গে পুলিশকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের কী নগ্ন চেহারা! এবার কোথায় যাবেন পুলিশবাবারা? কোর্ট তো চেপে ধরেছে। পুরনো এফআইআরকে হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এই মমতাই এই জেলাতেই ১০টা প্রশাসনিক সভাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক, এসপিকে, মুখ্যসচিবকে, ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন কেষ্ট যা বলবে তাই করতে হবে। আর এখন কেষ্টকে এখানে রাখতে চাইছে।”