তৃণমূলের ফর্মুলা অনুযায়ী ৭৫ ভাগ টাকা কলকাতায় যায় আর ২৫ ভাগ অন্যত্র রাখা হয়। ওই ৭৫ শতাংশই পৌঁছে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘ভাইপো’ অভিষেকের কাছে; এদিন ঠিক এই ভাষাতেই তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতারবিবার ছিল নন্দীগ্রামের কালিচরণপুরের ২৩৬ নম্বর বুথে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)।
সেখান থেকেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘’তৃণমূলের একটা ফর্মুলা আছে। সারা বাংলা থেকে টাকা তুলে তার মধ্যে ৭৫ ভাগ পৌঁছে দিতে হয় কলকাতায়, আর ২৫ ভাগ রাখা যায় নিজের কাছে। আর সেই নিয়ম মেনে কাজ করে যাচ্ছে তৃণমূলের নিচু তলার নেতা, পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ এমএলএ রা। তারা সমস্ত টাকা তোলে, ২৫ শতাংশ নিজের কাছে রেখে ৭৫ শতাংশ কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিসিকে পাঠিয়ে দেন। তেমনি পার্থ ২৫ ভাগ রেখে ৭৫ শতাংশ দিয়েছে পিসি ভাইপো কে।’ নাম না করে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও যুব তৃণমূল সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Avisekh Bandapadhyay) তোপ দেগেছেন।
মূলত, এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে থাকা একাধিক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে গাদা গাদা টাকা। এমনকি রাজ্যের বাইরেও তার নামে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকে বিরোধীদের দাবি ছিল, এই টাকার শুধু মাত্র হিমশৈলের চুড়া, এখনও অনেক হদিশ না পাওয়া টাকার সন্ধান আছে তৃণমূল সুপ্রিমো ও তাঁর সভাপতি ভাইপোর কাছে।
তিনি বলেন, “যেভাবে রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি মামলা সামনে উঠে আসছে, তা অত্যন্ত চিন্তার। এছাড়াও সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হওয়ার পিছনে রয়েছে মমতা মুখোপাধ্যায়ের উস্কানি।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রসন্ন রায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। তাঁর ১০০ টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়ার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে তদন্তকারী অফিসাররা আর এর মাঝে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য বিতর্ক আরো বহু গুনে বাড়িয়ে দিলো।