শান্ত রায়ের বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পত্তি এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডি’র কাছে নালিশ জানান জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস। তারপরেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুশান্ত রায়ের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে জোর জল্পনা স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুশান্ত রায় কোভিডের সময় উত্তরবঙ্গের ওএসডি হন। সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তরের ঘনিষ্ঠ এক অস্থি বিশেষজ্ঞদের বদান্যতায় সুশান্ত রায়ের এই পদপ্রাপ্তি। এরপর যত সময় গিয়েছে ক্রমশ ক্ষমতা বেড়েছে চক্ষু বিশেষজ্ঞের। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের বদলি প্রক্রিয়া, অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, বিভাগীয় প্রধান, এমনকী স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ স্বাস্থ্য ভবনের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে কে বসবেন সে বিষয়েও সুশান্ত রায়ের মতামত গুরুত্ব পেত বলে শোনা যায়।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সুশান্ত রায়কে ‘গুরুত্ব’ না দেওয়ার বার্তা গিয়েছে। আর এরপরই নীলবাতির গাড়ি এবং রক্ষী সরে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে প্রশাসনিক শীর্ষস্তরের সঙ্গে সুশান্ত রায়ের দূরত্ব বাড়ছে, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।