শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক নেতা–মন্ত্রীকে জেলে ঢুকিয়েছে সিবিআই। যে মামলা এখনও চলছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এমনকী আদালতে সম্প্রতি সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন, আরও পাঁচ দুঁদে সিবিআই অফিসারকে বাংলায় পাঠানো হচ্ছে। তদন্তে গতি বাড়াতেই তাঁদের পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। কয়েকদিন আগে পুরসভার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরতেই এবার আর্জি জানালো রাজ্য CBI তদন্ত বন্ধ করার ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতির কয়েকটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে গিয়েছে অন্য বিচারপতির এজলাসে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। বৃহস্পতিবার তার এজলাসে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য সরকার।
এই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসকদলের বহু নেতা-বিধায়ক। একই সাথে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই (ED-CBI)।
এই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে গিয়ে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে আসে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির ভুরিভুরি অভিযোগ। এরই পরই এই বিষয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি।
পাশাপাশি প্রাথমিক নিয়োগের মামলাকারী সৌমেন নন্দীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং রমেশ মালিকের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আবেদন করে বলেছেন, কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার উপরে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই মামলার কী অগ্রগতি হয়েছে তা সিবিআই এর কাছে জানার আর্জি করা হয়েছে আদালতে। সূত্রের খবর, এই দুই মামালার শুনানিই আগামী সোমবার হতে পারে।