সিআইটি রোডের বিদ্যাসাগর মঞ্চে বেশ কয়েকটি ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিগত ২৩ বছর ধরে সেখানে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন প্রায় ৩০ জন। অভিযোগ, আগাম কোনও নোটিশ ছাড়াই এই সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের অফিসও রয়েছে সেখানে। সেইসব অফিসেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বাধীন কলকাতা পুরসভা। শ্রমিক সংগঠনের এই অফিসগুলির মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের অফিসও।
মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির পর কোনও কাজ না হওয়ায় অভিযোগ করে এবার সুর চড়িয়েছেন
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রমথেশ সেনের কথায়,
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন স্পষ্ট বলছেন, কোনও রকম ক্ষতিপূরণ কিংবা পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না, তাহলে কোন কার্যসিদ্ধি করতে তাঁর নির্দেশ অগ্রাহ্য করছেন মেয়র? প্রমথেশ সেন দাবি করেছেন, এব্যাপারে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিলেও তাঁর কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
তৃণমূলের শ্রমিক নেতার প্রশ্ন, তাহলে কি বুঝতে হবে এই বিদ্যাসাগর মঞ্চকে কেন্দ্র করে কারও সঙ্গে কোনও আন্ডার টেবিল ডিল হয়েছে মেয়রের? না হলে কীসের এত তাড়াহুড়ো যে তালা দেওয়ার আগে নোটিশ জারি করার সময়টুকুও পাওয়া গেল না?
প্রমথেশ বাবুর ধারণা, এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও অসাধু উদ্দেশ্য রয়েছে। তাই তিনি এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করবেন এবং তাঁকে সব কথা খুলে জানাবেন বলে জানিয়েছেন প্রমথেশ সেন।