রাতে ভালো করে ঘুমোনোর পরামর্শ কতবার শুনেছেন বলুন তো! রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীর যেমন খারাপ হয়ে যায়, তেমনি মুখে থাবা বসায় বয়সের দাগ, ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে, দেখা দিতে পারে ডিপ্রেশনও। তবে জানেন কি, কম ঘুম যেমন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনি বেশি ঘুমোনোও কিন্তু একইরকম সমস্যার। যাঁদের দিনে নয়-দশ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি ঘুমোনোর অভ্যেস, তাঁদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে অনেকরকম রোগ। ওজন বেড়ে যাওয়া তো আছেই, তার সঙ্গে মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমনকী শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো কঠিন অসুখও। বেশি ঘুমোনোর ফলে ডিপ্রেশনের কবলে পড়েছেন, এমন উদাহরণও অনেক রয়েছে।
কেন বেশি ঘুমোই আমরা?
—————————
সাধারণত প্রতিদিন রাতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমকে স্বাভাবিক ধরা হয়। নয়-দশ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি ঘুমোলে তা নিশ্চিতভাবেই অতিরিক্ত ঘুমকেই চিহ্নিত করে। কম ঘুম বা অনিদ্রার পিছনে যেমন কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ থাকে, তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে হতে পারে।
থাইরয়েড, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, স্লিপ অ্যাপনিয়া, ডিপ্রেশনের কারণে বেশি ঘুম হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধের প্রভাবেও অতিরিক্ত ঘুম হয়। দীর্ঘদিন ধরে একটানা ক্লান্তির শিকার হলেও অনেকে বেশি ঘুমিয়ে পড়েন।
ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন
——————-
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যান এবং সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। নিয়মিতভাবে এটা বেশ কিছুদিন করতে পারলে শরীর ধাতস্থ হয়ে যাবে, ঘুমের নির্দিষ্ট ছন্দ আসবে। এই ছন্দটা ভাঙতে দেবেন না, উইকএন্ডেও মেনে চলুন।
বেশি ঘুমোনো বন্ধ করার উপায়
—————————-
আপনার বেশি ঘুমের পিছনে যদি শারীরিক কোনও অসুস্থতা না থেকে থাকে, তা হলে কিছু সাধারণ টিপস মেনে দেখতে পারেন। অভ্যেস আর ঘুমের প্যাটার্নে সামান্য অদলবদল ঘটিয়েই মুক্তি পাওয়া যায় বেশি ঘুমের হাত থেকে। বাদ দিন দুপুরের ঘুম। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর ভাতঘুম দেওয়ার অভ্যেস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু দুপুরের এই ঘুম আপনার ঘুমের ছন্দটাকে নষ্ট করে দিতে পারে। আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ হলে দুপুরের ঘুমটা বর্জন করুন। বরং এমন কিছু কাজ করুন ওই সময়টায় যাতে ঘুম না আসে।