জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে মুখ খুললেনএবার মা, বেরারানিদেবী ।
জীবনকৃষ্ণের মা বর্তমানে খড়গ্রাম ব্লকের পারুলিয়া গ্রামে থাকেন। তিনি বলেন, আমার চোখে আদর্শ ছেলে জীবনকৃষ্ণ। অনেক কষ্ট করে জীবন বড় হয়েছে। কষ্ট কী জিনিস সে তা বোঝে। তাই আমি বিশ্বাস করি ও কখনও কারো কষ্টের কারণ হতে পারে না। ছেলের গ্রেফতারির পর থেকেই চোখে জল জীবনের মায়ের।
ওর বাবা আমায় মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল। আমার কোলের তিন মাসের মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে। ছেলে তখন সাত বছর বয়স। ছেলে বড় হয়ে আসা যাওয়া করে। বাবা ওদের দেখতো না । ও দেখেছে ওর বাবার অত্যাচার । ছোট থেকেই ও খুব কষ্ট করে মানুষ হয়েছে । কারোর ভালোবাসা পায়নি। বাবার ভালোবাসা পায়নি।
তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলছেন, আমার দুঃখ লাগছে। ছেলে যাতে ভালো থাকে সেটা চাই। ছেলে আমায় মাসে মাসে টাকা পাঠাত। আমি সেই টাকায় কেনাকাটা করতাম। ছেলে আমায় একমাস আগেও টাকা পাঠিয়েছে। কিছুই করল না। আমার ছেলে যাতে ভালো থাকে সেটাই চাইছি। আমার ছেলে অনেক কষ্ট করে ঘা খেয়ে মানুষ হয়েছে। কারোর ভালোবাসা পায়নি। বাবার ভালোবাসা পায়নি। সাত বছরের ছেলেকে রেখে এসেছিলাম।
কারোর ভালোবাসা পায়নি। বাবার ভালোবাসা পায়নি। সাত বছরের ছেলেকে রেখে এসেছিলাম।
প্রসঙ্গত, বাবার কাছে চক্ষুশূল হলেও মায়ের চোখে আদর্শ ছেলে জীবনকৃষ্ণ। ছেলে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “অনেক কষ্ট করে জীবন বড় হয়েছে। কষ্ট কী জিনিস সে তা বোঝে। তাই আমি বিশ্বাস করি ও কখনও কারো কষ্টের কারণ হতে পারে না।’
তবে গ্রেফতার হওয়ার পরই তার বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি ‘আমার এমনই ছেলে, যে নিজের বাপের কাছেও ঘুষ চাইত!’ এছাড়াও নানান অভিযোগ করেন জীবনের বিরুদ্ধে। তবে মায়ের কাছে বিধায়ক একেবারে আদর্শ ছেলে ।