‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলার গ্রামে গ্রামে বিএসএফ-এর ‘তৎপরতা’ বাড়তে পারে’.এই ধরনের ভারত বিরোধী কথা বলে মমতা স্থানীয় ক্লাব গুলোকে নির্দেশ দিলেন বিএসএফ-এর ওপর নজরদারি চালাতে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ক্লাব প্রীতি’র পরিচয় বাংলার মানুষ জানে। মমতা সরকার নিজের কর্মীদের ডিএ দিতে পারে না , কিন্তু ক্লাবগুলির পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের ব্যবহার করার জন্য। আর এরই মধ্যে ক্লাবগুলিকে বিএসএফ-এর ওপর নজরদারির ‘দায়িত্ব’ দিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিএসএফ-এর ‘বাড়বাড়ন্ত’ ঠেকাতে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে নজরদারি চালানোর পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেক আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিএসএফ-কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু তার প্রমান আজও দিতে পারে নি মমতা
পঞ্চায়েতের আগে মমতার নির্দেশ, বিএসএফ-এর টহলদারি সংক্রান্ত তথ্য যেন স্থানীয় থানার ওসি-র কাছে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুলিসের দায়িত্ব, বিএসএফ-এর নয়। সমস্যা দেখা দিলে পুলিস কর্তাদের পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘জাতীয় পতাকার সামনে বসে মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে যেভাবে কথা বলছেন এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছেন, তা সাংঘাতিক মনোভাবের প্রতিফলন।’