সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার নাম করে যুবতীকে ধর্ষণের করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
ভয় দেখিয়ে জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে রেজিস্ট্রি করে অভিযুক্ত। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে।
পুলিশকে দেওয়া যুবতীর অভিযোগ, বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ রত্নাকর দে কখনও কেতুগ্রাম পুরনো বাজারের কাছে ভাড়া বাড়িতে, কখনও কাটোয়ার লজে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সারাদিন ধরে জোর করে ধর্ষণ করা হয়। এই কথা পাঁচ কান হলে বিপদ হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।সংসারে দারিদ্রতা থাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ দেবার নাম করে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
নির্যাতিতা যুবতীর অভিযোগ, বারবার তাঁকে ও তাঁর বাবা–মাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। জোর করে একাধিক সাদা কাগজে, স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নেয়। এমনকী ওই যুবতীকে স্ত্রী সাজিয়ে ছবিও তুলে রাখা হয়। একটি ভুয়ো রেজিস্ট্রি করে রেখেছে তাঁর সঙ্গে। যাতে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে না পারে। খোলামেলা পোশাক পরিয়ে ধর্ষণ করা হতো। অন্তর্বাস পর্যন্ত খুলে নেওয়া হতো।
এই তৃণমূল নেতার হাত থেকে বাঁচার জন্য কেতুগ্রাম থেকে ওই যুবতী পরিবার নিয়ে পালিয়ে আসেন নদিয়ার হাঁসখালিতে। গত ২২ মে দু’জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে কেতুগ্রাম ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয় ওই পরিবারকে। সেই ঘটনার পর হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা যুবতী। পুলিশ রত্নাকর দেকে এখনো গ্রেফতার করেনি।
