বাজেটের পর ফের ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৩৮ শতাংশের বদলে এবার ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। তবে এই রাজ্যে বকেয়া ডিএ এখনো পাওয়া যায় নি, ৪২ শতাংশ হারে ডিএ তো দূর অস্ত।
বকেয়া ডিএ (DA)-র দাবিতে এবার রাজ্যে বন্ধের ডাক দিল সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। ৯ মার্চ রাজ্যজুড়ে স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিল তারা। তবে হাসপাতাল-সহ একাধিক জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্যে কোনও বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না, বলে জানিয়েছেন মুথ্যমন্ত্রী। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার।
প্রথম ধরনা, তারপর এখন অনশন চলছে ধর্মতলায়। ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে স্কুল, হাসপাতাল ও আদালত-সহ সমস্ত সরকারি দফতরে দু’ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। এরপর ১৩ ফ্রেরুয়ারি দিনভর চলে পেন-ডাউন কর্মসূচি। এমনকী, সোম ও মঙ্গলবারও অফিসে হাজিরা দিলেও কাজ করেননি আন্দোলনকারী।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে জোরদার আন্দোলন চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। সোম ও মঙ্গলবার তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। তাদের সেই কর্মবিরতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য সরকার। যৌথমঞ্চের অভিযোগ, তাঁদের আন্দোলন ভাঙতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হামলা হয়েছে। তবু তাঁদের মনোবলে চিড় ধরানো যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা নতুন করে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্যাটে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। আবেদনে বলা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝে ডিএ বাড়ালেও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম পান। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে SAT-এর রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট। কিন্তু সেই রায়ের পরেও মেলেনি ডিএ। এই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। আগামী ১৫ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন ঠিক কী রায় দেয় আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা।