সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয় যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তারপর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে।
হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পরই এই এজেন্টদের বিষয়টি প্রকটভাবে সামনে আসে। এরপরই তদন্ত করে এসব এজেন্টদের শনাক্ত করে ইডি। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই খবর, বিভিন্ন জেলায় এই রকম এজেন্টদের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। এজেন্টদের কথা মত কাজ করত বহু সাব এজেন্টও। তাদের নামের তালিকাও ইডির হাতে।
প্রার্থীদের ব্রেন ওয়াস এর পুরো দায়িত্ব ছিল এই এজেন্টদের। তারা চাকরিপ্রার্থীদের বোঝাত কিভাবে শুধুমাত্র টাকা দিলেই হাতে চাকরি চলে আসবে। এরপর তারা রাজি হলে কয়েক দফায় একেকজনের কাছ থেকে এজেন্টরা বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সেই টাকা পৌঁছে দিত প্রভাবশালীদের কাছে। বিনিময়ে টাকার একটা কমিশন তাদের পকেটে ঢুকত।
তদন্তকারীদের দাবি, দুর্নীতি মামলায় ধৃত ব্যক্তি ও সাক্ষীদের জেরা করে এবং বৈদ্যুতিন রেকর্ড খতিয়ে দেখে ওই এজেন্টদের সম্পর্কে সিবিআই নিশ্চিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট প্রসন্ন রায় ও তার সঙ্গী প্রদীপ সিং। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি সিবিআই এর।