গরুপাচারে হওয়া আয়ের টাকা কোথায় কার কার কাছে গিয়েছে, ইডির প্রশ্নের মুখে অনুব্রত মণ্ডল।
ইডি সূত্রের খবর, অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের নামে ১২১টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করতে কেনা হয়েছিল এই সম্পত্তি। বাজার দরের থেকে কম দামে লেনদেন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিক্রির নথিতে।
নিজের ও পরিবারের নামে সম্পত্তি কেনার প্রমাণ দেখিয়ে টাকার উৎস নিয়েও প্রশ্ন করেছেন ইডির আধিকারিকরা।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অনুব্রত, তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছে। অনুব্রতর নামে ২৪টি, মেয়ে সুকন্যার নামে ২৬টি, স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ৬টি, অনুব্রতর আত্মীয় শিবানী ঘোষের নামে ১২টি, কমলকান্তি ঘোষের নামে ৫টি, রাজা হোষের নামে ৪টি সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। এছাড়া অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে ৩২টি, তাঁ স্ত্রী ও কন্যার নামেও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি।
সম্পত্তির এইসব তথ্য অনুব্রত মণ্ডলের সামনে রেখে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে চাইছেন আয়ের উৎস কী। রাজনৈতিক নেতা অনুব্রত মণ্ডলের রোজগার সম্পর্কে জানতে চাইছেন ইডির আধিকারিকরা। এছাড়া অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক, কর্মী, মেয়ের গাড়ির চালক, যাঁদের বেতন কয়েক হাজার টাকার মধ্যে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা এল, তাও তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরা। দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জেরার সময় তিনি বলেছিলেন সব বাবা জানে। এবার বাবাকে হেফাজতে নিয়ে উত্তর খুঁজছে ইডি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী অনুব্রত মণ্ডল নাকি জানিয়েছেন, তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না। এব্যাপারে ইডির আধিকারিকদের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল।