রাত ৩.৩০ , অয়ন শীলকে গ্রেফতার করা হয় । এরপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপরই ব্যাংকশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। জানা গিয়েছে আদালতে অয়ন শীলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে ইডি।
টানা ৩৭ ঘণ্টা তাঁর সল্টলেকের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালানো হয়। ইডির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে অয়নের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তাঁর অফিশে তল্লাশি চালানোর সময় অ্যাডমিট, ওএমআর শিট সহ নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায় বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। এছাড়াও একাধিক কম্পিউটার থেকে প্রচুর ডিজিটাল তথ্যও সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা।
পেশায় প্রোমোটার অয়ন শীল আবার তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার মালিকও। অয়ন শীলের আপাতত দুটি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি।
একটির নাম এবিএস ইনফোজ়ে প্রাইভেট লিমিটেড। এটি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা হিসেবে নথিভুক্ত। হুগলির চুঁচুড়ার জোড়া শিব মন্দির এলাকায় এর অফিস। এই সংস্থার দুই ডিরেক্টর। অয়ন শীল ও কাকলি শীল। 2013 সালে এটি খোলে অয়ন ।
অয়নের দ্বিতীয় কোম্পানির নাম একটি নির্মাণ সংস্থা। অয়ন শীল ও শমীক চৌধুরী নামে দুজন এই কোম্পানির ডিরেক্টর।
শান্তনুর বিশেষ ঘনিষ্ঠ এই অয়নের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই টাকা কোথা থেকে এসেছে, কে পাঠিয়েছে সেই বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চায় ইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা অয়নের কাছেও পৌঁছেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।