দুর্নীতির তালিকায় আরো এক রহস্যময়ী । অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। বাড়ি নৈহাটি জেলাপাড়াতে। কামারহাটি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন শ্বেতা। বাবা প্রাক্তন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী।
শনিবার অয়নের সল্টলেকের ভাড়া বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়। ইডি সূত্রে খবর, ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবারই বান্ধবীর কাছ থেকে একটি মেসেজ পেয়েছিলেন অয়ন। সেখানে ইডির অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সতর্কবার্তা ছিল।
এখানেই প্রশ্ন ইডির অন্দরে। অয়নের বান্ধবীর কাছে কীভাবে আগে থেকে ইডির অভিযানের সমস্ত খবর গেল শ্বেতার কাছে ? তাহলে কি ইডির ভেতরেই কেউ আছে যে যে এই শ্বেতার কাছে খবর পাঠিয়েছিল ?
ইডির হাতে অয়ন ও তাঁর বান্ধবীর শ্বেতা চ্যাটার্জীর একটি চ্যাট হিস্ট্রি এসেছে ,সেখানে দেখা যাচ্ছে শ্বেতা, অয়নকে সতর্ক করে লিখেছে, ইডি যে কোনও সময় রেইড করতে পারে, জিনিসপত্র সরাতে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কোনওভাবে কি ইডির দফতরেও অয়নের বান্ধবীর কোনওরকম যোগসূত্র রয়েছে? যাঁর মাধ্যমে একদিন আগেই তিনি জানতে পেরেছিলেন ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।
নাকি যেহেতু ইডি, সিবিআই চারদিকে ছুটে বেড়াচ্ছে, নিছক আন্দাজ থেকে এ কথা বলেছেন।