দাঁইহাটের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কিছুদিন আগে দাইঁহাট পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলের ‘কীর্তি’দেখেছে বাংলা। সেইসময় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ আনেন এক তরুণী। তার অভিযোগ ছিল, চাকরির আশায় পুরপ্রধানের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলো চেয়ারম্যান! সেই ঘটনার সময়ও কুকীর্তির ভিডিয়ো ও অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ফের একবার নেতার ‘কীর্তি’ বিড়ম্বনায় নাজেহাল শাসক শিবির। প্রকাশ্যে তৃণমূল কাউন্সিলরের কুকীর্তির অভিযোগ। ‘আমাকে একটা রাত দিতে হবে’! পুরসভার অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে ঠিক এমনই কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী মহিলা খড়গপুর পুরসভায় চুক্তিভিত্তিক পদে কর্মরত। অভিযোগ, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই মহিলাকে অশালীন প্রস্তাব দেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর ঘোষ। মহিলা জানিয়েছেন, কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর হুমকি দেন কেউ তাঁর কথা বিশ্বাস করবে না। পুলিশই তার হাতে। প্রমাণস্বরূপ ওই মহিলা কর্মী সমস্ত মেসেজের স্ক্রিন শট তুলে রাখেন।
মহিলার দাবি, ফেসবুকে তৃণমূল কাউন্সিলর তাকে বলেছেন, ‘তোমার যা লাগবে, আমি সব দেব। তোমাকে শুধু এক রাত আমাকে দিতে হবে’! এমনকী, থানায় অভিযোগ জানিয়েও লাভ হবে না বলে হুমকিও দেন প্রবীর ঘোষ!
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। দলের অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূলেরই স্থানীয় মহিলা কর্মীরা। এদিন খড়গপুর টাউন থানার বাইরে অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভও দেখান তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউন্সিলরের সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট-সহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পুরসভার অস্থায়ী মহিলা কর্মী।
মহিলার জমা করা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে প্রবীর ঘোষ বলেন, ”তোমার যা লাগবে আমি দেব। টাকা পয়সা সব। খালি তোমাকে এক রাত আমাকে দিতে হবে।” এরপর ওই মহিলা উত্তরে ভয় দেখান খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ করবেন। কিন্তু কোনওরকম ভয় না পেয়ে এরপর তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন,”ওই সব ভয় আমাকে দেখিও না। আমি তৃণমূলের কাউন্সিলর। থানার আইসি আমার হাতে। তোমার কথা মানবে না। তার থেকে আমার কাছে এসো, অনেক প্রফিটে থাকবে।” মহিলার জমা দেওয়া মেসেজের ক্রিনশটে ধরা পড়েছে এই বার্তালাপ।