ভারতের উত্থানে যারা সবচেয়ে বেশি আতংকিত তারা বিভিন্ন ভাবে ভারতকে অস্থিতিশীল করে চেয়েছিল বাগে আনতে কিন্তু পারছিল না।তাই এবার গাজোয়াতুল হিন্দ বাস্তবায়নে সরাসরি আক্রমণের পরিকল্পনা।গত জুলাই মাসে বিহারের দেওঘরে যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গিয়েছিলেন বিমান বন্দর উদ্বোধনে।সেখানেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ভারতের কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া(Pfi)।কিন্তু পারেনি পাটনা থেকে জঙ্গিরা ধরা পড়ে যায়। গোয়েন্দারা এদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ৮ পাতার একটি ইস্তেহার এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র।সেই ইস্তেহারেই লিখা ছিল ২০৪৭-এ কিভাবে ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্রে পরিনত করা হবে।
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর নিশানা ছিলেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister Narendra Modi) ? বড় ষড়য়ন্ত্রের অভিযোগ সামনে আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত জুলাইতে পাটনায় প্রধানমন্ত্রীর সভায় নাশকতার ছক করেছিল এই কট্টরপন্থী সংগঠন। এই বিষয়ে একাধিক তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে ED-র তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, কেরালায় ধৃত PFI সদস্য শফিক পায়াথের রিমান্ড নোটে এই ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে PFI-র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে NIA-ED। কেন্দ্রীয় সংস্থআগুলির অভিযোগ দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর লক্ষে কাজ করছিল এই সংস্থা।
ভারতে যারা নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করছেন তারা জানতেই পারেননি কি ভয়ংকরভাবে জিহাদিরা জাল বিস্তার করে এগোচ্ছিল।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি(NIA)এবং ইডি একযুগে দেশের ৫০টির বেশি জঙ্গিঘাটিতে অভিযান করে ১০৬ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এবং বিপুল পরিমান নথি ইলেক্ট্রনিক গেজেট উদ্ধার করে।
পিএফআই এর পিছনে রয়েছে মুসলিম বিশ্বের সক্রিয় সহযোগিতা।কুয়েত-কাতার-সৌদি আরব এবং তুরস্ক থেকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক সহযোগিতা রয়েছে এই সংগঠনের পিছনে।
নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিল ১২০কোটি টাকার ফান্ডিং।ইস্তেহারে ছিল সারা ভারতে কিভাবে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়াতে হবে,কিভাবে পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে নিজেদের লোক রিক্রুট করাতে হবে,কিভাবে জিহাদি নিয়োগ প্রশিক্ষণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত ও চালনা করতে হবে। বিহারের দেওঘরে যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গিয়েছিলেন বিমান বন্দর উদ্বোধনে।সেখানেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ভারতের কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া(Pfi)
সিএএ র আন্দোলনের সময় তারা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি হিসাবে মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিল।ঠিক একই ভাবে তারা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরির দাঙ্গা করেছিল, হায়দারাবাদের অশান্তিতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করেছিল।হিজাব বিতর্কে ছিল তাদের প্রত্যক্ষ মদত।জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে ছিল তাদের ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র বানানোর ছক।
একই ভাবে নুপুর শর্মার ঘটনার সময় তারা সারা দেশব্যাপী জাতীয় পতাকা হাতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল।সিএএ আন্দোলনের সময় Pfi একদিনে ১০০কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে বিলি করেছিল। এই সংগঠনের সাথে মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে শুরু করে তালিবান আল-কায়েদা মুজাহিদীন আইসিস এবং পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার সাথে রয়েছে গভীর যোগাযোগ।একসময়ের নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির সম্পাদক Pfiএর প্রধান।
সিমির নিষিদ্ধ সব জঙ্গিই Pfiএর সদস্য।২০১০ সালে কেরালার মুভাত্তপুজাতে অধ্যাপক টিজে জোসেফের কব্জি কেটে তাদের ভয়াবহ রূপ প্রকাশ করেছিল।২০১২ সালে কেরালা হাইকোর্টে গোয়েন্দা কর্তা হলফ নামা দাখিল করে বলেছিল Pfi নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির নুতন রূপ।
তারা দেশ বিরোধী কাজের সাথে জড়িত।তারা ১০৬টি সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত।৮৬খুনের চেষ্টায় জড়িত।তারা কোজিকায় গন হত্যায় অভিযুক্ত সেই ঘটনায় ৮ হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছিল।২০১৯ সনে পিএমকে নেতা রামালিঙ্গমের হত্যার সাথে তারা জড়িত ছিল।রামালিঙ্গম ধর্মান্তকরনের বিরোধিতা করেছিলেন।তার হত্যায় Pfiএর ১৮ নেতা জড়িত।Pfi এর ৬ সদস্য সিরিয়ায় আইসিসের সাথে যোগ দিয়েছিল।২০১৩ সাথে কেরালার কান্নরে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির থেকে ২১জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মানবতার শত্রু এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতকে একটি মুসলিম রাষ্ট্র বানানো জন্য তারা তোড়জোড় শুরু করেছে।কারন তাদের ধর্মগ্রন্থে লিখা রয়েছে ইসলামের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করবে তাদের জন্য জান্নাত অবধারিত।