কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু এবং পরবর্তীতে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে নিজের টুইটারে একটি পোস্ট করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তার সেই পোস্টের কমেন্টেই সরাসরি বিধায়ককে খুনের হুমকি দেওয়া হয় ‘biplabi’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে।
শংকর ঘোষ বলেন, গত ২৭ তারিখে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে আমি টুইটারে পোস্ট করেছিলাম। এরপর দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তারপর জানতে পারি আমায় টুইটারে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাকে গ্রেফতার করে মেরে মেরে ফেলা দরকার বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কাল রাতে আমি ওই খুনের হুমকিটা ভালো করে দেখি। এরপর বুঝতে পারি যে টুইটার হ্যান্ডেল থেকে আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করা হয়। ওখান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়। মৃত্যুঞ্জয় বর্মন যেভাবে মারা গিয়েছেন তেমনই বলা হয়েছে আপনাকে গ্রেফতার করা হোক ও মেরে ফেলা হোক। পুলিশকে দিয়ে আমাকে মারার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে কিনা তা দেখা দরকার। এই পোস্টে ট্যাগ করা হয়েছে নব জোয়ারকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি নিয়ে আমি বার বার বলেছি। সেটা নিয়েই করা হল কিনা তা জানতে চেয়েছি পুলিশের কাছে।
বিধায়কের নিজের করা পোস্টেই তাকে উল্লেখ করে লেখা হয়, “আপনার মতন জানোয়ার যাকুর বাচ্ছা যে নাকি একটা দাঙ্গাবাজ পার্টিতে ঢুকেছে তার কাছ থেকে এরকমি নির্লজ্জ মিথ্যাচার কোন আশ্চর্য নয়। আপনাকে অবিলম্বে এরেস্ট করে মারা উচিৎ।”
শংকর বলেন, মালদার ঘটনা নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলছেন পাগলের ঘটনা। কিন্তু আমার প্রশ্ন পাগলের কাছে আসল পিস্তল কীভাবে আসে? আমি তো সাধারণ স্কুটি নিয়ে একা একা ঘুরে বেড়াই। আমার পেছনেও কেউ থাকে না। তাহলে আগামী দিনে যদি কেউ আমায় গুলি করে মারে তবে বলবে পাগল মেরে ফেলেছে। এরকম পাগলের সংখ্যা যদি আমাদের রাজ্যে বেড়ে যায় তবে তা গভীর অসুখ।