গাজোলে ‘গায়েব’ ১১০টি প্রকল্প! তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ২৩০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ

খাতায় কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই প্রকল্পের হদিশ, ২৩০০ কোটির দুর্নীতি

খাতায় কলমে প্রকল্প রয়েছে। উপভোক্তাদের নামও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে নেই কোন প্রকল্পের হদিস। এমন ১১০টি প্রকল্প গায়েব মালদা গাজল ব্লকের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এক একটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল দেড় কোটি টাকা। সেই টাকায় কেঁচো সার অর্থাৎ জৈব সার উংপাদন হবে উপভোক্তারা সুবিধা পাবে এমনটাই হওয়ার কথা। কিন্তু কাগজে কলমে তৈরী হলেও বাস্তবের মাটিতে কোন চিহ্ন নেই। তাই উপভোক্তারা জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আনছে বিরোধিরা।

জানা যাচ্ছে, এক একটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল দেড় কোটি টাকা। সেই টাকায় উৎপাদন হবে জৈব সারের। কাগজে কলমে তৈরী হয়েছে জৈব সার। তা বিলিও হয়েছে উপভোক্তাদের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে এই প্রকল্পের কোন খোঁজই নেই। ব্যাপার বুঝতে পেরে উপভোক্তারা হাজির সোজা জেলাশাসকের দফতরে।

২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে জৈব সার উৎপাদনের জন্য ১১০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই সমস্ত প্রকল্পের প্রকল্প মূল্য ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। কিন্তু অভিযোগ এই প্রকল্পে কোনও কাজই করা হয়নি। আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে কাজ না করে সমস্ত টাকাটাই আত্মসাৎ করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফুলমণি হাসদা ও পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ।

পলাশ সরকার নামে এক উপভোক্তা জানান, ‘পঞ্চায়েত থেকে লোক এসেছিল। জৈব সার উৎপাদনের জন্য আমার জমি ঠিক করা হয়। আমি নিজেই গর্ত করেছি সেখানে। কিন্তু তারপর আর কোনও কাজ হয়নি। সব টাকা পঞ্চায়েত প্রধান তুলে খেয়ে নিয়েছে এক টাকারও কাজ হয়নি। আমরা ডিএম এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। যারা টাকা লুটেছে তাদের সকলের শাস্তি চাই’।

এই অভিযোগের বিষয়ে করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফুলমণি হাঁসদার সঙ্গে সংবাদমাধ্যম যোগাযোগের চেষ্টা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এবার বিপাকে রাজ্যের শাসক দল। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী জানান, ‘মালদা জেলায় ১০০ দিনের কাজে ২৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীদের একাংশ মিলে এই দুর্নীতি করেছে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা বড়সড় আন্দোলনে নামবো। অভিযুক্তদের জেলে ভরে তারপরই ছাড়বো।’