নিয়োগ দুর্নীতি, DA বকেয়া এবং আরো অনেক ইস্যুতে সাধারণ মানুষের চোখে মমতার ইমেজ তলানিতে । এই পরিস্থিতিতেই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) বলেন, ‘পুরোহিত চোর হতে পারে, দেবতা নন, আমি চোর হতে পারি, মমতা নন’। মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়েই জোর চৰ্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বাম আমলে পলিটেকনিক কলেজগুলিতে অন্তত ২০০ অধ্যাপককে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়। প্রয়োজনীয় নম্বর না থাকা সত্ত্বেও বাম আমলে বেআইনি নিয়োগ হয়। আমার কাছে তথ্য-প্রমাণ আছে। মন্দিরের পুরোহিত চোর হলে দেবতা চোর হয় না। অপবিত্রও হয়ে যায় না। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্দিরে দেবতা যিনি তাঁকে আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। আমি চোর হতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর নন।’ দলনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার পাল্টা বামেদের বিরুদ্ধেই তোলপাড় ফেলা অভিযোগ সামনে আনলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
দিন দিন দুর্নীতির তদন্তে শাসকদলের সদস্যদের নাম জড়ানোয় যথেষ্টই কোণঠাসা তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে দলের ওপর থেকে দুর্নীতির দাগ সরাতেই পুরোনো সরকারের প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে। পাশাপাশি দলের কোনো ব্যক্তির করা দুর্নীতির দায় যে তৃণমূল নেবেনা এদিন নিজের কথায় সেই ইঙ্গিতও দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, দুর্নীতির দায় গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন শাসক নেতৃত্ব। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে এত জনের নাম জড়িয়েছে সে ক্ষেত্রে নতুন অস্ত্র হিসাবে আগের পক্ষের সরকারের নিয়োগে দুর্নীতির তথ্য হাতড়ে বার করে তা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও এই বার্তা দিতে চাইছেন, কারোর ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় কখনই দলকে প্রভাবিত করবে না।