অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তি করতে বেসরকারি বিএড ও ডিইএলএড কলেজ থেকে যেমন কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল, একই ভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে বেসরকারি আইন এবং ফার্মাসি কলেজের ক্ষেত্রেও।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডি-র মামলায় বুধবার বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি হয়। তখনই বেসরকারি আইন ও ফার্মাসি কলেজ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন ইডি-র কৌঁসুলিরা। ইডি-র দাবি, এখনও পর্যন্ত পার্থ ও অর্পিতা এবং তাঁদের আত্মীয়দের প্রায় ১০৩ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে। বিচারক শুভেন্দু সাহা শুনানি শেষে পার্থ ও অর্পিতাকে ফের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার আদালতে অভিযোগ, ‘বিভিন্ন প্রাইভেট ল’ কলেজ ও বি-ফার্ম কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে এই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’ এরপরেই এই দু’জনকে একমাসের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি।