শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে আবারও বড় পদক্ষেপ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ঠিক ৮০ দিন পর গ্রেফতার করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। গতকাল গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতে মানিক ভট্টাচার্যকে সিজিও কমপ্লেক্সের সাততলায় ইডি-র অফিসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর রাত ১টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগাযোগ ছিল যে ছিল তা দাবি করা হয়েছে ইডির পেশ করা চার্জশিটে। সূত্রের খবর রাজ্যে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের মত মানিক ভট্টাচার্যও জড়িত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী। আর সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই মানিক ভট্টাচার্যকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। সূত্রের খবর সোমবার দুপুর বেলা ইডির নির্দেশ মতই মানিক ভট্টাচার্য হাজিরা দেন সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানেই তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হয়। রাতভর চলে সেই জেরা। সূত্রের খবর মানিক ভট্টাচার্যের কথায় প্রচুর অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। আর সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। ইডি সূত্রের খবর টেটের মাস্টারশিট চেয়ে তিনি পদস্থ আধিকারীকদের নিয়োগের জন্য চাপ দিয়েছিলেন বলেও তথ্য প্রমাণ রয়েছে তদন্তকারীদের কাছে। ইডির দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত মানিক ভট্টাচার্য। আর সেই কারণে তাঁদের জেরা করে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছানো যাবে বলেও মনে করছে তদন্তকারীরা।
মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীরা অবশ্য দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ আছে। তার পরও কীভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়? এর জবাবে ইডি-র আধিকারিকরা বলেন, মানিক ভট্টাচার্যের পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ শুধুমাত্র সিবিআইয়ের মামলায় রয়েছে। তাই ইডি-র তাঁকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই। ইডি-র দাবি, আধিকারিকরা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পেরেছে মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশেই টেট-এর মার্কশিটে পরিবর্তন করা হয়। ওএমআর শিটেও কারচুপি করা হয়। মানিককে জেরা করে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলেও মনে করছে তদন্তকারীরা।