পদাদিকার বলে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তিনি। গতকাল বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটের পর বৃহস্পতিবার তিনি হাজির হয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজে। কিন্তু রাজ্যপাল প্রেসিডেন্সি কলেজের গেটে নামতেই তাঁকে দেখে কালো পতাকা দেখান এসএফআইয়ের ছাত্ররা। জাতীয় শিক্ষানীতিতে বদল এবং ছাত্র ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে কালো পতাকা দেখানো হয় রাজ্যপালকে।
রাজ্যপালের এই কলেজে আসাকে একেবারেই সহজ ভাবে নিতে রাজি নন এসএফআই সমর্থকরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক কারণে রাজ্যপাল এসেছেন। শিক্ষায় কিছুতেই গৈরিকীকরণ করতে দেওয়া হবে না। জাতীয় শিক্ষানীতির প্রচার করতেই রাজ্যপাল কলেজে এসেছেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা। কিছুতেই শিক্ষানীতিতে তাঁরা বদল মানবেন না হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আসলে এটা বকলমে তৃণমূলের সাথে বামফ্রন্ট যুক্ত হয়ে রাজ্যপালকে হেনস্থা করার পরিকল্পনা।
গতকাল বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন চলতি বছরেই রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা সম্ভব। এই নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরেই বৃহস্পতিবার এককথায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে এসএফআই। জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করার অর্থই হল শিক্ষার গৈরিকীকরণ করা। এমনই অভিযোগ করেছে বাম ছাত্র সংগঠন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ধনখড় রাজ্যপাল পদে থাকাকালীন এক প্রকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে তুমুল বিরোধ তৈরি হয়েছিল। ধনখড়কে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছিল। এই নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাবও পেশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপরে অবশ্য বিষয়টা বেশিদূর এগোয়নি। রাজ্যপাল বদলের পরে আচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিভি আনন্দ বোস। তার পরেই আচার্যদের কাছে রাজভবন থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে রাজভবনকে জানিয়ে যেকোনও আর্থিক ক্ষেত্রের অনুমোদন পেতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলি তাতে বিকাশভবনকে জানানোর প্রয়োজন নেই।
বাম আমলে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার হালহকিকত সবার জানা। আর তৃণমূল তো কফিনের শেষ পেরেকটা শিখতে পুঁতে দিয়েছে , সেই আবহে দাঁড়িয়ে শিক্ষানীতিতে প্রচন্ডভাবে বদল দরকার।